মাওলানা আতাউর রহমান খান রহ. এর সংক্ষিপ্ত জীবন দর্শন
October 17 2019, 04:14
নাম :- মাওলানা আতাউর রহমান খান
জন্ম / জন্মস্থান :- ১ মার্চ ১৯৪৩ কিশোরগঞ্জ
শৈশব কাল :- একজন বাংলাদেশী আলেমে দ্বীন, সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।[২] জ্ঞানচর্চা, মাদরাসা ও মসজিদ পরিচালনার সাথে সাথে রাজনীতি তথা সমাজ সংস্কারেও ছিলেন সোচ্চার।[৩] ১৯৯১ সালে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে তিনি বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন[৪]। কিশোরগঞ্জের আল জামেয়াতুল ইমদাদিয়ার প্রায় শুরু থেকে তিনি এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব, জাতীয় শরীয়াহ কাউন্সিলের সদস্য।[২]
শিক্ষা জীবন :- আতাউর রহমান খান ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ কিশোরগঞ্জের ইটনা থানাধীন হাতকাবিলা গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আহমদ আলী খান ছিলেন আতহার আলীর প্রধান খলিফা এবং জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জের আজীবন প্রিন্সিপাল। পারিবারিকভাবেই আতাউর রহমান খান ধর্মীয় চেতনার ধারক ছিলেন। শুরু থেকেই তিনি কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়ায় লেখাপড়া করেন এবং এখান থেকেই তিনি দাওরায়ে হাদীস (মাষ্টার্স) সমাপ্ত করেন। মেধার অধিকারী হওয়ায় খান তার ছাত্রজীবনের প্রতিটি ধাপ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।[৫]
কর্ম জীবন :- জামিয়া ইমদাদিয়ায় শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে তিনি তার কর্মজীবনের সূচনা করেন। বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নসের সদস্য, জাতীয় শরীয়াহ কাউন্সিলের সদস্য, জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জের ভাইস প্রিসিপাল, জামিয়া ফারুকিয়া কিশোরগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল, ঢাকার ফরিদাবাদ ও মিরপুর ৬নং মাদরাসার প্রিন্সিপাল। [৬]
অবদান :- মাওলানা আতহার আলী রহ. এর একনিষ্ঠ ভক্ত : মাওলানা আতহার আলী রহ. ছিলেন তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, ছিলেন শীর্ষস্থানীয় বুযুর্গ আলেম। তিনি ছিলেন মূলতঃ সিলেট জেলার বিয়ানী বাজার থানার অধিবাসী। বর্তমান বিয়ানী বাজার পৌরসভার শহরতলী ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামে আজ অবধি তাঁর আদি বাড়ী রয়েছে। (এ লেখকের বাড়ীও সিলেট জেলার বিয়ানী বাজার থানায়) আতহার আলী রহ. ছিলেন সিলেট অঞ্চলের গরিষ্ঠ সংখ্যক উলামায়ে কেরাম জমিয়তে উলামার রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকায় এখানে তাঁর পক্ষে কাজ দুরূহ হয়ে পড়ে। এর জের ছিল অনেক।
সিলেটের আড়াই থানা নিয়ে রেফারেন্ডাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তা পাকিস্তানের অংশে থাকবে নাকি ভারতের অংশে থাকবে। জমিয়ত ছিল ভারতের অংশ হওয়ার পক্ষে আর নেজামে ইসলামসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। গণ ভোটে জমিয়তের হার হয় ফলে পাকিস্তানের অংশেই পড়ে ছিল। আতহার আলী রহ. সিলেট ছেড়ে কিশোরগঞ্জের পথে পাড়ি জমান। কিশোরগঞ্জের জামেয়া ইমদাদিয়া তারই কীর্তি। এখানকার যারা হযরতের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন তাদের অন্যতম ছিলেন আতাউর রহমান খান। তাঁর পিতা মাওলানা আহমাদ আলী খান র. একজন উচ্চশিক্ষিত আলেম ও মুসাল্লাম বুযুর্গ ব্যক্তি ছিলেন।
প্রথম থেকেই তিনি ছিলেন জামেয়ার প্রিন্সিপাল। আতাউর রহমান খান পরবর্তীকালে জামেয়া ইমদাদিয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল নিযুক্ত হন। বেফাকের প্রাথমিক যুগের ১০ বছর মহাসচিব ছিলেন। জ্ঞান, দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞাপূর্ণ বক্তব্যের কারণে দেশের সর্বত্র তাঁর পরিচিতি ছিল। জেলা শহরে থেকেই তিনি জাতীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। এসবের দীর্ঘ ইতিহাস আমার জানা নেই। তবে ত্রিমুখী ষড়যন্ত্রে জামেয়া ইমদাদিয়া হতে যখন তাঁকে অব্যাহতি দেয়া হয় তখন তাঁকে ঢাকাতে বার কতক দেখেছি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করার সময় তারই গুণগ্রাহী বা ছাত্র অনেকে জামেয়া ইমদাদিয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন।
জামেয়া ত্যাগ করার কারণ তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন। চেপে রাখা দুঃখ তার কথায় প্রকাশ পেতে দেখেছি। যারা তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন তাদের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখেছি। কিন্তু অশালীন মন্তব্য করতে শুনিনি। বিশেষ করে পরবর্তী প্রিন্সিপালের সমালোচনায় অতিরঞ্জিত করে কেউ তাঁর পিতা সহ কথা বলতে চাইলে তাকে তিনি থামিয়ে দিতেন। বলতেন হযরত মাওলানা অর্থাৎ আতহার আলী (র.) সম্পর্কে কোন ধরনের কটুক্তি করা চলবেনা। ৭১ এর ভূমিকা নিয়ে তিনি শায়খের সাথে দ্বিমত করতেন। কিন্তু কখনো বিরোধ করেননি। হযরত মাওলানা এ বিশেষণ ছাড়া কোন সময়ই আতহার আলী রহ. এর নাম উচ্চারণ করতেন না। জবান নিয়ন্ত্রণে রাখার এ অনুপম উদাহরণ আমি আর দেখিনি। সকল আলেম উলামাকে তিনি সম্মানের সাথে পূর্ণ নাম ও সাহেব উচ্চারণসহ মর্যাদা দিয়ে কথা বলতেন। যা আমাদের জন্য শিক্ষণীয়।
ইসলামী বিশ্বকোষ সম্পাদনা : সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর যখন বেশির ভাগ সময় তাঁকে ঢাকাতে থাকতে হত তখন ডিজি সাহেবের পরামর্শে ইসলামী বিশ্বকোষের পরিচালক তার কাছে সম্পাদনার কাজে সহযোগিতা করার নিবেদন করলে হযরত তাতে সম্মতি জানান। অনেক দিন তাকে তৎকালীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরীর সভাকক্ষে বসে নীরবে কাজ করতে দেখেছি। নিরহংকার এ মানুষটিকে আগে থেকে কেউ না জানলে তিনি যে একজন সংসদ সদস্য তা তার আবরণ হতে কেউ বুঝতে পারত না। এর সাক্ষী আমি নিজেই।
সংসদ ভবনের তাঁর অফিসে সাক্ষাত : খতমে নবুওয়াতের আন্দোলনে তখন সারা দেশ টাল মাটাল। মানিক মিয়া এভিনিউতে মহাসমাবেশ আহŸান করা হয়েছে। বি এন পি সরকার তখন ক্ষমতায়। সারা দেশ হতে মানুষের ঢল মানিক মিয়া এভিনিউ অভিমুখে। সিলেটের বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের একদল আমাকে বললেন, পাশেই তো সংসদ ভবন। এখানেই সংসদ সদস্য মাওলানা আতাউর রহমান খান অবস্থান করেন, চলুন তার সাথে দেখা করে আসি। আমি রাজি হয়ে গেলাম। উলামায়ে কেরামের রাহবার হিসেবে আমি তাদের নিয়ে হযরত খান সাহেবের দরবারে উপস্থিত হলাম।
তিনি অত্যন্ত আপনজন হিসেবে উলামায়ে কেরামের সাথে সাক্ষাত দিলেন, আপ্যায়ন করালেন। আন্দোলনের অগ্রগতি হিসেবে খোঁখ খবর নিলেন। উপস্থিত আলেমদের কেউ বলে ফেললেন, হযরত! আপনি আন্দোলন হতে দূরে কেন? তিনি সহাস্য উত্তর দিলেন, আমি দূরে নই। সরকারী সংসদ সদস্য হিসেবে কিছু বাধ্য বাধকতা আছে। আপনারা কাজ করুন। আমরা আপনাদের সাথে আছি। সংসদে আমি আপনাদের প্রতিনিধি। সেদিন লাখো মানুষের জমায়েতে সরকার দলীয় এমপি হয়েও তিনি যে সাহসী উচ্চারণ করেছিলেন তা নজিরবিহীন। সামনে মেয়র নির্বাচন ছিল। তিনি বলেছিলেন, সরকারকে বলবো দেয়ালের লিখন পড়–ন, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জনগণের ঈমানি দাবি। এ দাবি মেনে নিন।
মাদরাসা দারুল উলূম মিরপুর-৬ এর অধ্যক্ষ : মিরপুরের বড় ইসলামী প্রতিষ্ঠানের মাঝে দারুল উলূম মিরপুর-৬ ঢাকা অন্যতম। এখানকার প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য খান সাহেবকে অনুরোধ করা হয়। সিনিয়র শিক্ষকগণ এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এখানকার শায়খুল হাদীস ছিলেন মরহুম মাওলানা মুজিবুর রহমান। শায়খুল হাদীস সাহেবও খান সাহেবের ছাত্র ছিলেন। কমিটি ও শিক্ষকগণের ঐকান্তিক অনুরোধে হযরত খান সাহেব দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণ করার পর শায়খুল হাদীস সাহেব হযরতের কাছে অনুরোধ করেন, আপনি আমার উস্তাদ আপনার সামনে আমি শায়খুল হাদীস থাকব, এটা আমার হিম্মত নেই। শায়খুল হাদীস পদ ও বুখারী আউয়াল পড়ানোর দায়িত্বও আপনার হাতে বিনীতভাবে হস্তান্তর করলাম। হযরত খান সাহেব অত্যন্ত আদরের সাথে মাও: মুজিবুর রহমানকে বললেন, তোমার কাজ তুমি চালিয়ে যাও। আমি বুখারী সানী পড়াব। অনেকে ভাবছিল এবার মুজিবুর রহমান সাহেবের শায়খুল হাদীস পদ হাত ছাড়া হয়ে যাবে। কিন্তু খান সাহেব হুজুরের মহানুভবতা এতই উদার ছিল যে, শায়খুল হাদীস পদ ও পদবী এবং বুখারী আউয়াল পড়ানোর ব্যাপারটি ছিল তার কাছে গৌণ।
একজন আদর্শ পিতা : এদেশের ‘উলামায়ে কিরামের মাঝে চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন মাওলান ‘আতাউর রহমান খান। কারণ তাঁর লিল্লাহিয়াত ছিল প্রশ্নাতীত। বর্তমান যুগের অনেক আলেমকে দেখা যায় তাদের ছেলে মেয়ে সন্তানদেরকে কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়াতে। উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণের প্রতি খুবই আগ্রহী। কিন্তু আতাউর রহমান খান সাহেব তাঁর সন্তানদেরকে দ্বীনী শিক্ষায় শিক্ষিত করার প্রতি ছিলেন খুবই সচেতন। সবাইকে আগে কওমী মাদরাসায় পড়িয়েছেন। তারপর অন্যান্য শিক্ষা। আমার মনে আছে তাঁর বড় ছেলে ‘উবায়দুর রহমান খান (নাসিম) একদিন আমাদের কাছে একটি অভিব্যাক্তি প্রকাশ করে ছিলেন যে, নদওয়াতুল উলামা লখনৌর পথে রওয়ানা হওয়ার সময় বাবা বলেছিলেন আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে তোমাকে ছেড়ে দিলাম। বড় আলেম হয়ে ঘরে ফিরবে। একথা বলে দ‘ুফোটা অশ্রু ফেলে বিদায় দেন। গাড়ীর দিকে ফিরে তাকাননি।
আমার চেনা তাঁর চোখশীলতকারী ৫ ছেলে : ফলেই বৃক্ষের পরিচয়। হযরত মাওলানা আতাউর রহমান খান সাহেবের যোগ্য সন্তানদের দিকে তাকালে সে কথা আবার মনে পড়ে যায়। আমার প্রথম চেনা মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভীকে। বর্তমান প্রজন্মের উলামায়ে কেরামের মাঝে এক নক্ষত্র স্বরূপ। বাংলা সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় এক অনুসরণীয় ব্যক্তি। তিনি দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক। লেখা লেখির জগতে যাদেরই পদচারণা তারা সবাই তাকে একজন প্রথিতযশা লেখক ও সাহিত্যিক হিসেবে জানে। তিনি ঢাকার ফরিদাবাদ, যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসা ছাড়াও সিলেট, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জামেয়ায় অতিথি অধ্যাপক হিসেবে ইলমে দ্বীনের খেদমতে নিয়োজিত আছেন। দ্বিতীয় ছেলে মাওলানা মুফতী ওয়ালিউর রহমান খান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একজন স্বনামধন্য মুহাদ্দিস।
শুধু পদেই তিনি মুহাদ্দিস নন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উঁচু স্তরের সকল কাজে তাঁর অংশ গ্রহণ চোখে পড়ার মত। তৃতীয় ছেলে ড. মাওলানা খলীলুর রহমানের সাথে একবার এশিয়ান ইউনিভার্সিটির উত্তরা ক্যাম্পাসে দেখা হয় এবং দু’জন বেশ সময় আলাপ চারিতায় মেতে ওঠি। তাঁকেও কাছে থেকে দেখার সুযোগ পাই। চতুর্থ ছেলে মাওলানা রেজওয়ানুর রহমান খান ভালো আলেম ১টি মাদরাসার পরিচালক, সংগঠন ও কয়েকটি মাদরাসার সাথে জড়িত এবং আলআরাফাহ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ার বিভাগের উপপ্রধান। ৫ম ছেলে মুহিব খান তো ইসলামী সংগীতের এক প্রবাদ পুরুষ। নতুন প্রজন্মের অহংকার। তার ইসলামী সংগীত যুবকদের মাঝে নতুন রেনেঁসার জন্ম দেয়। এ ছাড়া কাব্যে আল-কুরআনুল কারীমেরও তিনি অনুবাদ করে যাচ্ছেন। তিনি একজন সুবক্তা বটে।
প্রাথমিক জীবনে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আতহার আলীর ইন্তেকালের পর বিভিন্ন কারণে নেজামে ইসলাম পার্টি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে তিনি রাজনীতি থেকে অনেকটা দূরে সরে যান। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির টিকিটে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
তার লেখা বইয়ের মধ্যে রয়েছে: ১. তাফসিরে সূরা মুলক ২. পুঁজিবাদ সমাজতন্ত্র ও ইসলাম ৩. ইসলামের অর্থবণ্টন ব্যবস্থা ৪. মুসলিম শিশু শিক্ষা ৫. মাওলানা আতহার আলী রহ. এর স্মৃতি ৬. নির্বাচিত প্রবন্ধ। তার আত্মজীবনীমূলক রচনার পাণ্ডুলিপিও প্রকাশের পথে। ২৮ এপ্রিল ২০০৫ সালে ধর্ম চিন্তন ও ধর্মীয় দর্শন প্রচারণায় অবদানের জন্য রাজ্জাক সখিনা কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে তাকে পদক ও সম্মাননা দেয়া হয়
মৃত্যু তারিখ :- ২০০৮ সালের ৩০ জুলাই রাত ২.৩০টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা আসার পথে মারা যান।