শায়েখ আব্দুল গণী রা. জীবন ও কর্ম
July 28 2019, 05:33
নাম :- মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা শায়েখ আব্দুল গণী রাহঃ
জন্ম / জন্মস্থান :- ১৯৪৩ সালের ১লা মার্চ জকিগন্জ উপজেলার ৩নং কাজলশাহ ইউপির জামুরাইল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন ৷ পিতার নাম মোহাঃ ইনসান আলী ও মাতার নাম মরহুমা সজিবা খাতুন
শৈশব কাল :- নিজ বাড়ি তথা জামুরাইল গ্রামে কাটিয়েছেন
শিক্ষা জীবন :- প্রাথমিক শিক্ষা নিজ গ্রামের মক্তবে অর্জন করেন ৷ ৮ বছর বয়সে প্রাতিস্টানিক শিক্ষা অর্জনের লক্ষে হাড়িকান্দী মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে মাত্র ৬মাসে পন্চম শ্রেনী পর্যন্ত সিলেবাসের সকল কিতাবাদী পাঠ শেষ করেন ৷এমতাবস্থায় জ্ঞানের পিপাশা মিটাতে কানাইঘাট উপজেলার সড়কেরবাজার আহমদিয়া মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণী তথা মিজান জামাতে ভর্তিহন ৷এবং সেখানে আলিম পর্যন্ত শিক্ষা অর্জন করেন ৷১৯৬১ সালে জকিগন্জ ইছামতি কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পরিক্ষাদিয়ে প্রথম বিভাগে উত্তির্ণ হন ৷পরবর্তিতে উচ্ছ শিক্ষা অর্জনের লক্ষে প্রাচীন তম বিদ্যাপিঠ কানাইঘাট গাছবাড়ি জামিউল উলুম কামিল মাদ্রাসা থে ১৯৬৩ সালে ফাজিল ১৯৬৫ সালে কামিল পরিক্ষায় অংশ নিয়ে সুনামের সাথে উত্তির্ণ হন ৷এবং শেখানে দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামীম যোগ সচেতন আলেম আল্লামা ক্বারী তৈয়্যব রাহঃ কর্তৃৃৃক হাদিসের ইজ্জত লাভকরেন ৷
কর্ম জীবন :- কামিল পরিক্ষার রিজাল্ট হওয়ার আগেই১৯৬৬সালে উনার প্রখর মেধার স্বিকৃতি সরুপ শিক্ষক বৃৃন্দ নিজেকে না জানিয়ে গাছবাড়ি মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা সিলেবাসের বিভিন্ন উলুম ও ফুনুনের মৌলীক কিতাবাদি রুটিনে অন্তর্বোক্ত করেদেন শিক্ষক কে সম্মান করে নিজে সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষকতা শুরুকরেন সাথে নিজ স্থানিয় এলাকাবাসীর অনুরোধে( ১৯১৯ সালে প্রতিস্ঠিত ,নিজ এলাকার মাদ্রাসা) ১৯৬৬ সালে জকিগন্জ হাড়িকান্দী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল নিযুক্ত হন ৷ তার সু-দক্ষ নেতৃত্বে হাড়িকান্দী মাদ্রাসার প্রাণ ফিরে আসে ৷তিনি মুহতামিম নিযুক্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মাদ্রাসার মজলিসে শুরা ও মজলিসে আমেলা গঠন , ঘন্টা , রুটিন , শিক্ষক গনের স্তর বিন্যাস , কুতুবখানা ও মসজিদ প্রতিস্টা সহ যাবতীয় সংস্কার সাধন করে মাদ্রাসা কে প্রাতিস্ঠানিক রুপদেন ৷গাছবাড়ি মাদ্রাসায় ৫বছর শিক্ষকতা করেন ৷এসময় উনার মেধা , ত্যাগ বাতিলের বিরুদ্ধে অগ্নিযরা জালাময়ী ওয়াজ /বক্তিতার কথা সারা সিলেটে সড়িয়ে পড়লে তার সুনাম চতুর্দিকে পুলকিত হতে তাকে ৷১৯৬৯সালে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা সুজাউল আলিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সে মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগদান করতে হয় ৷ সেখানে ৩বছর শিক্ষকতার পর ১৯৭১সালে তাকে জোরকরে বিয়ানীবাজার সিনিয়র মাদ্রাসায় নিয়ে আসাহয় ৷ এ মাদ্রাসায় একাদারে ১৯৮৮ সাল তথা ১৮বছর প্রাতিস্ঠানিক বিভিন্ন গুরুত্তপুর্ণ দায়ি পালন করতে হয় ৷তখন তিনি বিয়ানীবাজার জামে মসজিদের ও ১৮ বছর খতিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ৷উনার প্রচেস্টায় তখন মসজিদের ৩তলা বিল্ডিং নির্মাণ করা সম্ভব হয় ৷১৯৮৯ সালে সিলেট বন্দর বাজার জামে মসজিদে ও খতিব হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় ৷এবং সেখানে ১বছর খতিবের দায়িত্ব পালন করে অবশেষে নিজের প্রাতিস্ঠানিক , সামাজিক ও পারিবারিক ব্যস্ততা ও ঘণঘণ বিদেশ সফরের ফলে নিজে থেকেই দায়িত্ব ছেড়ে চলে আসেন ৷
অবদান :- অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে আল্লামা শায়েখ আব্দুল গণী রাহঃ কর্মজিবনে এতসব প্রাতিস্ঠানের শিক্ষকতা করলেও তার দক্ষ পরিচালনা ও সু – পরিকল্পিত চিন্তাধারায় ছাফেলা চাহারম ১০ম পর্যন্ত হাড়িকান্দী মাদ্রাসা কে সময়ে সময়ে এগিয়ে যেতে শুরু করে ৷ ১৯৬৩ সালে মাত্র দেড় পাওয়া যায়গা ও চূট্ট একটি ঘর নিয়ে দায়িত্ব শুরুকরলেও সময়ের ব্যবধানে তা রুপ নেয় বিশাল একটি প্রতিস্টানে ৷ তার একক প্রচেস্ঠায় মাদ্রাসাটি ৪অকর ভূমির উপর বিশাল এরিয়া নিয়ে একটি দর্শনীয় মসজিদ , পৃথক ৪টি দীর্ঘ শিক্ষাভবণ , নারী , পুরুষের জন্য পৃথক টাইটেল মাদ্রাসা হিফজ বিভাগ , কুতুবখানা , এতিমখানা , বোর্ডিং চালোকরেন ৷এছাড়া নিজ গ্রামে দ্বীনি শিক্ষার পরিবেশ না তাকায় নিজ ভূমিতে প্রতিস্টাকরেন আংশিক পুরুষ ও মহিলা টাইটেল মাদ্রাসা যা মদিনাতুল অলুম দারুসসুন্নাহ জামুরাইল কামালপুর নামে প্রতিস্টা করেন ৷ মিত্যূর পুর্ব পর্যন্ত তিনি হাড়িকান্দী মাদ্রাসা জামুরাইল মাদ্রাসার মুহতামীম হিসাবে দায়িত্বপালন করেন ৷ এছাড়া জামেয়া ছায়িদিয়া মাইজকান্দী ও বারহালের শরিফাবাদ মাদ্রাসার মুহতামীমের দায়িত্বপালন করেন ৷ তিনি আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানী রাহঃ এর অন্যতম খলিফা হজরত আল্লামা লুৎফুর রহমান বর্ণভী রাহঃ এর খলিফা ছিলেন৷ তিনি সিলেটের এদারাতুল বানাত শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি , আজাদ দ্বীনি এদারা সিলেট বিভাগের সহ সভাপতি ও তান্জিমুল মাদারিস বোর্ডর পৃস্টপোষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন ৷
=আন্দোলন -সংগ্রাম = ছাত্র জামানা থেকেই আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েগেছেন তিনি সিলেট বিভাগ ছাত্র সংসদের সেক্রেটারীর দায়িত্বপালন করেছেন ৷ তিনি বেশ কিছুদিন খেলাফত মজলিস জকিগন্জের পৃস্টপোষক সিলেট জেলা শাখার উপদেস্টা , সর্বশেষ কেন্দ্রীয় উপদেস্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ তবে তিনি দলিয় সংকীর্নতার উর্ধে থেকে সিলেটের জমিয়ত সহ সকল দলের ইসলাম ও দেশের পক্ষে যে কোন কর্মসুচিতে অংশ গ্রহন করতেন ৷তিনি সিলেট বিভাগে বেদাত মুক্ত সমাজ কায়েমে নিজ মামা মাওঃ আব্দুল লতিফ ফুলতলী সাহেবের সাথে বেশ কটুর ভাবে ওয়াজে অপেন চেন্জ ছুড়ে বক্তিতা করে সিলেটের কওমী ঘরানায় মুকুটহিন সম্রাঠের আসিনে স্থান করেনেন ৷
মৃত্যু তারিখ :- ৪বিবি সহ ১৪জন সন্তানের পিতা হিসাবে জকিগন্জের মেগাচ্ছন্য আকাশের উধীয়মান সুর্য্য প্রিয় রাহবার আমাদের লক্ষ ভক্ত যনতাকে কাদিয়ে ২০১৬ সালের ১৯ অপ্রিল মঙ্গলবার বিকাল ৫টায়৭৩ বছর বয়সে সিলেট সিলকো টাওয়ারস্থ নিজ ফ্লাটে ইহধাম ত্যাগ করে মাওলার শাক্ষাতে মিলত হন ৷ পরদিন বাদ জোহর ২টায় হাড়িকান্দী মাদ্রাসা মাঠে লক্ষাধিক মুসল্লিদের উপস্তিতিতে বড় সাহেবজাদা মাওঃ ওলিউর রহমান এর জানাযার ইমামতিতে অনুস্টিত হয় ৷ এর পর মাদ্রাসা মাঠে তাকে জ্ঞমাহিত করাহয় ৷ মহান প্রভূ প্রিয় রাক্ষবার কে জান্নাতুল ফিরদাউস এর আ\’লা দরজা দান করুন
তথ্য দানকারীর নাম :- মাওঃ আব্দুল হামিদ জালাল
তথ্য দানকারীর মোবাইল :- +০০৮৮০১৭২৪৭৫৭৫৩৮