সারা দেশের মাদ্রাসাসমূহ

শাইখুল হাদীস মাওলানা শায়খ মাহমুদুল হাসান যাত্রাবাড়ি দা. বা.- এর সংক্ষিপ্ত জীবন ও কর্ম

October 19 2019, 05:30

লিখেছেন >মাওলানা আহমদ কবীর খলীল

যুগের অন্যতম ইসলামি ব্যক্তিত্ব, অন্যতম আধ্যাত্বিক রাহবার, আকাবির- আসলাফ ও উলামায়ে দেওবন্দের প্রতিচ্ছবি, শায়খুল হাদীস, আল্লামা মাহমুদুল হাসান (শায়খে যাত্রাবাড়ী) দামাত বারাকাতুহুম।

মুসলিম উম্মাহর চেতনার বাতিঘর, কিংবদন্তি এই মহান মনীষীর অহর্নিশ মেহনত হচ্ছে; যাতে মানুষের প্রতিটি কাজ ও আমল সুন্নত মোতাবেক হয়ে যায় সে ফিকিরেই। তিনি হাকিমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত আশরাফ আলী থানবি রহ. ও মুহিউস সুন্নাহ হযরত শাহ আবরারুল হক রহ. এর দেখানো পথে সবরকম বিতর্ক ও সমালোচনার উর্ধ্বে উঠে মজলিসে দাওয়াতুল হকের কাজ এগিয়ে নিয়ে চলছেন।

তিনি একজন খ্যাতিমান লেখক ও ইসলামি গবেষক। ইলম, হিকমাহ, তাকওয়া ও তাহারাতে পরিপূর্ণ দীনের মরদে মুজাহিদ। সমকালের নন্দিত পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি দেশে ও দেশের বাইরে মুসলিম উম্মাহর মাঝে সুন্নতের জ্ঞান প্রচারের কারণে “মুহিউস সুন্নাহ” উপাধিতে পরিচিত।

জন্ম ও শৈশব: 
আল্লামা মাহমুদুল হাসান দা. বা. ৫ জুলাই ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ সদরের চরখড়িচা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মাস্টার গালীম উদ্দীন আহমাদ, মা ফাতিমা রমজানী।
শৈশবে তিনি গম্ভীর স্বভাবের ছিলেন। ভদ্র ও সৌজন্যতাবোধ ছিল তাঁর ভূষণ। হাস্যোজ্জল চেহারা আর উত্তম ব্যবহারে সহজেই যে কারও মন জয় করতে পারতেন। তিনি শৈশবে গ্রামের ছেলেদের সাথে বিভিন্ন খেলাধূলা করতেও পছন্দ করতেন।

শিক্ষা জীবনঃ
কৈশরে মা-বাবা হারানো মেধাবী মাহমুদুল হাসানের পড়াশুনার হাতেখড়ি নিজ গ্রামে। এরপর ইবতেদায়ী থেকে শরহে বেকায়া পর্যন্ত পড়াশুনা করেন ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলুম বালিয়া, জামিয়া ইসলামিয়া ময়মনসিংহ ও জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জে।
জালালাইন পড়েন জামিয়া কোরআনিয়া লালবাগ ঢাকায়। মেশকাত ও দাওরায়ে হাদীস শেষ করেন বিননূরী টাউন পাকিস্তান।

মধ্যখানে রমযান মাসের মাত্র ২৭ দিনে তিনি পবিত্র কুরআন হিফজ করেন। উস্তাদের নির্দেশনায় সারাদিন ১ পারা করে মুখস্ত করতেন আর রাতে তারাবির নামাজে উস্তাদকে শুনাতেন।
এছাড়াও তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর চারটি ডিগ্রী যথা- তাখাসসুস ফিল ফিকহ, তাখাসসুস ফিল হাদীস, তাখাসসুস ফিত তাফসীর, ও তাখাসসুস ফিল আদব অর্জন করেছেন।মুহিউসসুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান দা.বা. আল্লামা আনোয়ার শাহ্ কাশ্মীরী রহ. এর জানিশীন, যুগশ্রেষ্ঠ শায়খুল হাদীস আল্লামা সাইয়্যেদ ইউসুফ বিন্নূরী রহ., পাকিস্তান, আল্লামা শায়খ ইদরীস মিরাঠী রহ., পাকিস্তান, মুফতীয়ে আজম পাকিস্তান আল্লামা মুফতী ওয়ালী হাসান রহ., বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা হেদায়াতুল্লাহ সাহেব রহ., আল্লামা শায়খ উমর সানকিতী রহ. মদীনা শরীফ, ও আল্লামা শায়খ সলিমুল্লাহ খান রহ. প্রমুখ মনীষীদের থেকে হাদীসের সনদ লাভ করেন।

কর্মজীবন:
অত্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি সরকারি মঞ্জুরীপ্রাপ্ত সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে পাকিস্তানের জামিয়া ফারূকিয়া করাচীতে নিয়োগের মাধ্যমে কর্মজীবনের সূচনা করেন।
বর্তমানে তিনি গুলশান সেন্ট্রাল আজাদ মসজিদ ও ঈদগাহ সোসাইটির খতীব। জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ী, ঢাকার মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস। ওয়াপদা কলোনী ঈদগাহ মাঠ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকার ইমাম ও খতীব। তাছাড়াও নিয়মিত তাফসীরকারক, গুলশান সেন্ট্রাল আজাদ মসজিদ ও ঈদগাহ সোসাইটি।

আমীর, মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশ। যা হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. কর্তৃক ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইমাম, মুয়াজ্জিন ও আলেম-উলামাদের অরাজনৈতিক ইসলাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মজলিসে দা’ওয়াতুল হক বাংলাদেশ সবার কাছে স্বীকৃত।
এছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক, ইসলামি গবেষণা সাময়িকী মাসিক “আল-জামিয়া”।

তদোপরি ব্যাংক, বীমা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিখূঁত ইসলামী পদ্ধতির প্রবক্তা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আল্লামা মাহমুদুল হাসান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন ও পরিচালনার দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে চলেছেন।

আত্মশুদ্ধির মেহনতঃ
আত্মার পরিশুদ্ধতা পরকালীন কল্যাণের জন্য মুখ্য। যার আত্মা পরিশুদ্ধ নয় তার সব আমল বৃথা। আল্লামা মাহমুদুল হাসান সাহেবের রয়েছে জাহেরি জ্ঞানের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রতিও প্রবল ঝোঁক ও সাধনা । তিনি আধ্যাত্মিক বিষয়ে মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক রহ. ভারত, শায়খ সাইয়্যেদ ইউসুফ হাশেম রেফায়ী দা.বা. কুয়েত, শায়খ সাইয়্যেদ মাহমূদ হাশেম রেফায়ী দা.বা. কুয়েত, শায়খ ইসহাক সিদ্দিকী দা.বা. নদওয়াতুল উলামা ভারত, শায়খ দৌলত আলী রহ. বালিয়া ময়মনসিংহ, শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল মান্নান কাশিয়ানী হুজুর রহ. গওহরডাঙ্গা এবং শায়খুল হাদীস আল্লামা আহমদ শফী দা.বা. এর কাছ থেকে খেলাফত লাভ করেছেন। বর্তমানে তিনি সারা বিশ্বে ইহ্য়ায়ে সুন্নাত ও ইসলাহে উম্মাতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

দেশ ও দেশের বাইরে ১৫৭ জন আলেম-ওলামা তাঁর মাজায ও খলীফা হিসেবে রয়েছেন। তাঁর অন্যতম খলীফাদের মধ্যে হলেন ; আল্লামা ফজলুর রহমান রহ. সাবেক মুহতামিম ফরিদাবাদ মাদরাসা, ঢাকা। আল্লামা মুফতি নিজামুদ্দিন শামযী রহ. পাকিস্তান। আল্লামা ইবরাহীম আলী রহ. ( কটারকুনি) মৌলভীবাজার। মুফতি আসআদ আজমী, ভারত। হযরত মাওলানা হাফিজ লুকমান সাহেব, সৌদি আরব। শায়েখ হাসান মুসা, সৌদি আরব। শায়েখ আলী আব্বাসি, খতীব বায়তুল মুকাদ্দাস, ফিলিস্তিন। শায়েখ মাহমুদ জাকারিয়া, ফিলিস্তিন। শায়খুল হাদীস মাওলানা হেমায়াত উদ্দিন সাহেব, ঢাকা। মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই। মাওলানা গুফরান আহমদ, থাইল্যান্ড। মাওলানা ক্বারী মুনিরুজ্জামান, মদিনা মুনাওয়ারা। শায়েখ আহমদ সাহেব, মালি, আফ্রিকা। মাওলানা শামসুল আলম,  পীর সাহেব মোলামগাড়ী,বগুড়া।

প্রফেসর মুশফিকুর রহমান রহ. রাজশাহী। মাওলানা শহীদুল্লাহ ফারুকী, মালয়েশিয়া। হাফিজ মাওলানা আবদুল হক সাহেব, প্রতিষ্ঠাতা হুফফাজুল কোরান ফাউন্ডেশন। মুফতি মুস্তাক্বুননবি, কুমিল্লা। শায়েখ নাসির বিল্লাহ মক্কী। মুফতি আবুল কালাম জাকারিয়া, দরগাহ মাদরাসা সিলেট। মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদবী, কিশোরগন্জ। মাওলানা মাহমুদুল হাসান সিরাজী, ঢাকা। মাওলানা শফীকুল ইসলাম মাদানি, যাত্রাবাড়ি মাদরাসা, ঢাকা। শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুল মুমিন সাহেব, কুষ্টিয়া। মাওলানা নাজমুল হক রহ. মোমেনশাহী। শায়খুল হাদীস মাওলানা ইমরান সাহেব, বি বাড়িয়া। মুফতি মইনুল হক, রাজশাহী। মুফতি আবদুর রউফ, সিরাজগঞ্জ। শায়খুল হাদীস মুফতি আবদুল হান্নান, ভাদুঘর, বি বাড়িয়া প্রমুখ যুগ শ্রেষ্ঠ উলামায়ে কেরাম। গ্রন্হ রচনা ও লিখালিখি ঃ আল্লামা মাহমুদুল হাসান বহুরৈখিক প্রতিভার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। তিনি প্রায় অর্ধশত বই লিখেছেন। তাঁর রচিত ‘আর রদ্দুল জামিল’ আরব বিশ্বে সবচে’ সাড়া জাগানো একটি কিতাব।

২০০৯ সালে যখন মক্কা মোকাররমার ‘আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার’ এর প্রধান ড.আহমদ আল গামেদী কর্তৃক কর্মস্থল ও শিক্ষালয়সহ সর্বত্র নারী-পুরুষ অবাধে মেলামেশার প্রকোপকে বৈধতা দেওয়ার প্রয়াস চালানো হলো। তখন আর রদ্দুল জামিল প্রকাশের পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে আরব বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠে । অতপর ড.গামেদী নিজ অভিমত প্রত্যাহার করেন। সারা বিশ্বের আলেমদের মাঝে ফিরে আসে এক স্বস্তির নিঃশ্বাস। আরব বিশ্বে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের প্রদত্ব বিভিন্ন বয়ানের উপর “আল ইরশাদ ইলা সাবিলির রাশাদ ” নামক একটি সংকলনও রয়েছে। “আল ইমাম আবু ইউসুফ ফিল ফেক্বহি” নামে ইমাম আবু ইউসুফ রহ. সম্পর্কে তাঁর লেখা গন্হটি আরব ও আজমে এক অদ্বিতীয় গ্রন্হ হিসেবে স্বীকৃত। এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু গ্রন্হ : ১. তাফসীরে বুরহানুল কুরআন (১-৪ খন্ড ) ২. দাওয়াতুল হক আওর দাওয়াত ও তাবলিগ ৩. ইসলাম ও আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা ৪.নবী পরিবারের প্রতি ভালবাসা ৫. হয়াতে আবরার ৬. হায়াতে উসমানি ৭.আল বুরহানুল মুআইয়াদ ৮.তোহফায়ে আবরার ৯.তোহফায়ে সুন্নাহ ১০.আদর্শ মতবাদ ১১.মাওয়েজে হাসানাহ ১২.সিরাতে মুস্তাকিমের সন্ধানে ইত্যাদি। বাংলার পাশাপাশি আরবী ও উর্দু ভাষায় তিনি অনেক গুরুত্বপুর্ণ কিতাব রচনা করেছেন। কুরআন, হাদিস ও তাফসিরের জ্ঞানে গভীর পাণ্ডিত্যের পাশাপাশি আরবি ও উর্দু ভাষার কাব্যচর্চায় আল্লামা মাহমুদুল হাসানের রয়েছে ঈর্ষণীয় দক্ষতা।

দেশ বিদেশের সফর ও দাওয়াতী কার্যক্রম ঃ

সারা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ইসলামি ব্যক্তিত্ব আল্লামা মাহমুদুল হাসান উম্মাতের অন্যতম একজন আদর্শ রাহবার হিসেবেও সমাদৃত । বাংলাদেশের বাইরেও তাঁর রয়েছে প্রশংসনীয় অবস্থান। তিনি ভারত, পাকিস্তান, সৌদিআরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চল এবং ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন এলাকায় একাধিকবার ইসলামের প্রচার ও বিভিন্ন সম্মেলন, সেমিনার ইত্যাদিতে বক্তব্য প্রদানের লক্ষ্যে সফর করেছেন।

আল্লামা মাহমূদুল হাসান দীনের বিভিন্ন অঙ্গনে দীর্ঘ দিনের সাধনা ও অবদানের কারণে দেশবাসীর নিকট বরেণ্য ও সমাদৃত। জাতীয় পর্যায়ের ওলামা-মাশায়েখ ও বুযুর্গানে দীনের নিকট তিনি বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। বাংলাদেশে গণমুখী দীনি দাওয়াতের বহুবিধ কর্মতৎপরতার পাশাপশি তাঁর এহইয়ায়ে সুন্নাতের অনুশীলন, দরস-তাদরিস, মসজিদ-মাদরাসা ও ওয়াজ-মাহফিলে তাঁর জ্ঞানগর্ভ ও অত্মশুদ্ধির বয়ান সমাজকে করছে নির্মল ও পরিশুদ্ধ। তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি তাঁর ছাত্র, মুরিদীন ও মুতাআল্লিক্বীন সহ সর্বস্তরের মানুষকে হেকমত ও ভালবাসার মাধ্যমে সহজেই ভাল পথে টানতে পারেন। তিনি ভালবাসা ও শাসনের এক সাথে প্রয়োগের ক্ষেত্রে নববী চরিত্রের প্রতিচ্ছবি।

সুন্নত ও শরীয়তের খেলাফ কাজ দেখলে তিনি খুব দ্রুত রাগান্বিত হয়ে উঠেন। আবার অনেক কঠোর স্বভাব, বদ্দীন লোকদেরকে তিনি আদর-ভালবাসা ও প্রঙাপুর্ন কথার মাধ্যমে সুন্নতের উপর উঠাতে সচেষ্ট থাকেন। দ্বীনের সঠিক ব্যাখ্যা উপস্থাপনার ক্ষেত্রে তিনি কারো কোনো পরওয়া করে কথা বলেন না, এতে সে যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেনো। তিনি সদাসর্বদা উম্মতের ইসলাহের ফিকির নিয়ে চলেন। তাঁর বিশিষ্ঠ খলীফা, লেখক, গবেষক, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদবী বলেন ; তিনি এই জাতির ইসলাহ ও সংশোধনের চিন্তা করে করে কত রাত্রি যে অঘুমা কাটিয়েছেন এবং কাটাচ্ছেন তার হিসাব মিলানো সম্ভব নয়! তাঁর আপাদমস্তক উম্মতের ইসলাহের ফিকির।

মাওলানা নদবী বলেন ; “আমার ধারণা মতে তিনি বর্তমান যুগের এমন একজন অদ্বিতীয় রাহবার, যিনি একাধারে হাদিসের মসনদে যুগশ্রেষ্ঠ শায়খুল হাদীস, ফেক্বহের ময়দানে যুগেশ্রেষ্ঠ মুফতি, ইসলাহী কার্যক্রমে যুগশ্রেষ্ঠ শায়েখ ও মুরশিদ, লেখনীর জগতে যুগের শ্রেষ্ঠতম ইসলামী লেখক।ওয়াজ ও বয়ানাতের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ খতীব। ইলম ও আমলের ক্ষেত্রে একজন ওরাসাতুল আম্বিয়ার বাস্তব প্রতিচ্ছবি। দেশ ও জাতির যে কোনো সংকটে একজন দরদি অবিভাবক, জাতীয় মুরব্বি ও দিক নির্দেশক। মোটকথা, উম্মতের রাহবারীর জন্য একজন আদর্শ রাহবারের মধ্যে যত গুণের সমাহার দরকার, আমি তাঁর মধ্যে সবগুণের সমাহার পুর্ণমাত্রায় প্রত্যক্ষ করছি। অতএব, আমরা তাকে যথাযথ উপলব্ধি ও ক্বদর করতে না পারা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়।”

পারিবারিক জীবনে তিনি দুই ছেলে ও চার মেয়ের জনক। ছেলেরা হলেন, মাওলানা মায়মুন হাসান ও মাওলানা মাসরুর হাসান। আল্লাহ তাআলা সমকালীন বিশ্বের নন্দিত পুরোধা ও মুসলিম উম্মাহর অনন্য রাহবার আল্লামা মাহমূদুল হাসানের ছায়া আমাদের ওপর যুগের পর যুগ প্রসারিত করুন। আমীন।

লেখক ; সহকারী নাজিমে তা’লীমাত, জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা, সিলেট।

Spread the love